বার্তা পরিবেশক:
কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে আদালতে আগত বিএনপি কর্মী মুহাম্মদ শাহাজাহানকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন আইনজীবী ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, পূর্বের একটি মামলার জামিন সংক্রান্ত কাজে শাহাজাহান জেলা বার ভবনের অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলামের চেম্বারে যান। ওই সময় আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা একদল ব্যক্তি চেম্বারের ভেতরেই তাকে মারধর শুরু করে। অভিযুক্তদের মধ্যে আইনজীবী শওকত বেলাল, জাহেদুল ইসলাম, সাঈদ, অ্যাডভোকেট ফয়সাল, অ্যাডভোকেট জসিমসহ আট–দশজন ছিলেন। হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্রও ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে শাহাজাহান গুরুতর আহত হন।

খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার এসআই নুরুল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত শাহাজাহানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম বলেন, “শাহাজাহান আমার চেম্বারে ঢোকার পরপরই কয়েকজন এসে তাকে প্রচণ্ড মারধর শুরু করে। এটি ন্যাক্কারজনক ও আইনবহির্ভূত। একজন আইনজীবীর চেম্বারে হামলা করার কোনো সুযোগ নেই। পাঁচ–ছয়জন আওয়ামীপন্থী আইনজীবীসহ কয়েকজন এই হামলা চালিয়েছে। একজন আসামি আদালতে এসে আইনজীবীর চেম্বারে সেবা নিতে পারবে না—এমনটা আইনেও নেই। এই ঘটনা বার কাউন্সিলসহ দেশের আইনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।”

এদিকে ভুক্তভোগীর স্ত্রী রোকেয়া বেগম সিবিএনকে জানান, “এডভোকেট শওকত বেলালসহ তার ভাইপোদের নিয়ে পুরো একটি দল আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে মারধর করে। তারা চায় আমার স্বামীকে মেরে ফেলতে। শুধু তাকে নয়, আমার দুই দেবরকেও তারা নির্যাতন করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “স্বামীর যদি কোনো অপরাধ থাকে, রাষ্ট্র সেটির বিচার করবে। কিন্তু এভাবে আদালত প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসী হামলার বিচার চাই। আমার স্বামীকে হত্যার হুমকির সঠিক তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

ঘটনা নিয়ে আদালতপাড়ায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। পুলিশের পক্ষ থেকেও ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।